দুনিয়ার পথে এগুনোর শেষ নেই। আজকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, কালকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, পরশু পিএইচডি। তারপর পোস্ট ডক্টরেট। একটার পর একটা চলছে। তারপর ইন্টারন্যাশনাল কোন ম্যাগাজিনে পেপার পাবলিশ করো। Publish or Perish, পেপার পাবলিশ করো না হয় ধ্বংস হয়ে যাও। নতুন নতুন তত্ত্ব আহরণ করো। নতুন নতুন তত্ত্ব আহরণ না করে পুরনো জিনিস নিয়ে বসে থাকলে হবে না। নিত্য নতুন সবকিছু জানতে হবে। শিখতে হবে। আর আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে আমরা একেবারে সামান্যতেই খুশি হয়ে যাই। আমাদের এই যে অবহেলা তার একটাই কারণ যে, আখেরাত সম্পর্কে অনুভূতি দুর্বল। সে অনুভূতি যত বেশি সজাগ হবে ততো বেশি আখেরাতের জন্য আগ্রহ বাড়বে, আর মজলিস গুলোর মূল উদ্দেশ্য এটাই আমাদের অন্তরে আখেরাতের ব্যাপারে আরও বাস্তব অনুভূতি সৃষ্টি করে দেওয়া। আমরা যেন আখিরাতের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি। আল্লাহ নিজেও বলেন,
كَلَّا بَلۡ تُحِبُّوۡنَ الۡعَاجِلَةَ ۙ ﴿۲۰﴾ وَتَذَرُوۡنَ الۡاٰخِرَةَ ؕ ﴿۲۱
‘না না তুমি তো দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছ। আখেরাত অনেক মঙ্গলজনক, চিরদিনের।‘
[সূরা-৮৭, আয়াত ১৬-১৭]
দুনিয়া কয় দিনের? কিন্তু আমাদের মন মানেনা। মন এখন যেটাকে দেখে, সেটাকে ভালো মনে করে। জিভে স্বাদ লাগে। খেতে ভালো লাগে। কানে ভালো লাগে। শুনতে ভালো লাগে। চোখে ভালো লাগে, দেখতে ভালো লাগে। এখান থেকে ফেরানোর জন্য কুরআন মাজিদের পাতায় পাতায় বিভিন্ন ভঙ্গিতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
اَلۡهٰٮكُمُ التَّكَاثُرُۙ ﴿۱﴾ حَتّٰى زُرۡتُمُ الۡمَقَابِرَؕ ﴿۲
‘আধিক্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে যে পর্যন্ত না তোমরা কবরে পৌঁছাও।’ [সূরা ১০২, আয়াত ১-২]
কবরে পৌঁছানোর আগে কেবলই দুনিয়া বাড়ানোর চিন্তা আমাদেরকে আচ্ছন্ন করে রাখে। আরো চাই, আরো চাই।
পাশ্চাত্য শিক্ষায় দ্বীনি অনুভূতি, মাকতাবাতুল ফুরকান, পৃঃ১৪০